RD | ০৩ মার্চ ২০২৫ ০০ : ২৪Rajit Das

আজকাল ওয়েবডেস্ক: আপনি যদি আপনার সঞ্চয় ব্যাঙ্কে রাখার পরিবর্তে আরও ভালো জায়গায় বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে পোস্ট অফিসের কিষাণ বিকাশ পত্র স্কিম আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। এই স্কিমটি বাজারের ঝুঁকি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত এবং স্থির রিটার্ন প্রদান করে। এটি বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য উপকারী।

আপনি যদি আপনার সঞ্চয়কে একটি নিরাপদ এবং লাভজনক বিনিয়োগে পরিণত করতে চান, তাহলে এই প্রকল্পটিতে বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে। আসুন এই পোস্ট অফিস স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

কিষাণ বিকাশ পত্র যোজনার বৈশিষ্ট্য-
নিরাপদ বিনিয়োগ: এই স্কিমটি বাজারের ওঠানামা দ্বারা প্রভাবিত হয় না, যা একটি নিরাপদ বিনিয়োগ নিশ্চিত করে।
আকর্ষণীয় সুদের হার: এটি বর্তমানে বার্ষিক ৫ শতাশ হারে সুদ প্রদান করে।
দ্বিগুণ অর্থ গ্যারান্টি: আপনার বিনিয়োগ ১১৫ মাসে (প্রায় ৯ বছর ৭ মাস) দ্বিগুণ হবে।
একক এবং যৌথ অ্যাকাউন্ট: আপনি এককভাবে বা যৌথভাবে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
কোন সর্বোচ্চ সীমা নেই: আপনি সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন এবং এর কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই।
শিশুদের জন্য অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা: ১০- বছরের বেশি বয়সী শিশুদের নামেও অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে।

কীভাবে দ্বিগুণ রিটার্ন পাবেন?
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ১১৫ মাস পরে ৪ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে এই পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে ৮ লক্ষ টাকা হয়ে যাবে।

এই প্রকল্পে কাদের বিনিয়োগ করা উচিত?
অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি: যারা ঝুঁকি না নিয়ে তাদের মূলধন বাড়াতে চান।
মাঝারি এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা: নিরাপদ এবং স্থির রিটার্ন খুঁজছেন এমন ব্যক্তিরা।
পিতামাতারা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করছেন: যারা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে চান।

প্রকল্প সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-
সুদের হার পর্যালোচনা: সরকার প্রতি ত্রৈমাসিকে সুদের হার পর্যালোচনা করে।
লক-ইন পিরিয়ড: এই স্কিমের লক-ইন পিরিয়ড ৫ বছর (৬০ মাস)।
কোন কর সুবিধা নেই: এই স্কিমে অর্জিত সুদ করযোগ্য।
মনোনয়ন সুবিধা: আপনার মৃত্যুর পর টাকা পাওয়ার জন্য আপনি একজন দাবিদারকে মনোনয়ন করতে পারেন।

কিষাণ বিকাশ পত্র প্রকল্পের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
আপনার নিকটতম ডাকঘরে যান এবং কিষাণ বিকাশ পত্র যোজনা ফর্মটি পূরণ করুন। প্রয়োজনীয় নথি (আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ছবি এবং ঠিকানার প্রমাণপত্র) জমা দিন। একক অঙ্কের টাকা পরিশোধ করুন এবং রসিদ নিন।